মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ARSENIC ALB


কৃতজ্ঞতা

এই লেখাটি মূলত “The Case Before Case Taking” বই থেকে সংগৃহীত, যার লেখক Dr. Yogesh Rajurkar। আমি বাংলায় অনুবাদ করে এখানে উপস্থাপন করেছি। লেখকের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা।

ARSENIC ALB

Arsenic Album

আমি প্রতিদিন সকাল ১০টায় আমার ক্লিনিক খুলি। তখনই আমি স্বামী/পিতা মোড থেকে ডাক্তার মোডে চলে যাই।

সেদিন সকাল ৮টার সময় আমি একটি ফোন কল পেলাম। সাধারণত ডাক্তার মোডে ঢোকার আগে রোগীর কল পেতে আমার ভালো লাগে না।

ক্লিনিক কখন খুলবে স্যার?”—ফোনের ওপাশ থেকে এক ভদ্রমহিলা জিজ্ঞেস করলেন। আমি উত্তর দিলাম, “ক্লিনিক খোলার সময় সকাল ১০টা।

ভদ্রমহিলা আবার বললেন, “স্যার, আমি মিসেস দাস। আমার স্বামীর জ্বর আর মাথাব্যথা হচ্ছে, তিনি সারা রাত ঘুমাননি। আমরা অপেক্ষা করছি স্যার, দয়া করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আসুন।

আমি প্রতিশ্রুতি দিলাম যত দ্রুত সম্ভব আসব।

আমরা যেকোনো তথ্য পাই না কেন, অন্তত একবার ভেবে দেখা উচিত। এখানে কী অস্বাভাবিক বা অদ্ভুত? আমি প্রতিদিন সকাল ১০টায় ক্লিনিক খুলি আর বেশিরভাগ কলও তখনই আসে।

কিন্তু কলটা এসেছিল অনেক আগে, প্রত্যাশার চেয়েও আগে। এবং খেয়াল করোরোগী নিজে নয়, তার স্ত্রী কল করেছিলেন।

আমি এই দম্পতিকে চিনি। দুজনেই ওডিশা থেকে এসেছেন। স্বামী একই বাজারে একটি বুটিক চালান, যেখানে আমার ক্লিনিকও আছে।

স্বামী প্রায় ২৮ বছর বয়সী এবং স্ত্রী সম্ভবত ২৩২৪ বছর বয়সী।

স্ত্রী নরম-স্বভাবের, ভদ্র শান্ত। সবসময় শাড়ি পরেন, সিঁথিতে সিঁদুর আর হাত ভর্তি লাল-সাদা চুড়িযা তাদের দিককার মেয়েদের জন্য বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

স্বামী মুম্বাইতে থেকেছেন এবং অনেকটা মুম্বাইকার হয়ে গেছেনএকটু দাপুটে স্বভাব। গায়ের রং শ্যামলা, গড়নে খাটো গোলগাল, মুখে প্রায়ইপান’, আর মাথায় ব্যবসার চিন্তা।

ফোনে যা তথ্য পেলাম আর যা কিছু ঘটেছিল, সবকিছুই মাথায় ঘুরছিল। তাই আমি সকালের কাজকর্ম দ্রুত শেষ করে ক্লিনিকে ছুটলাম।

আমি সকাল ১০টার সময় ক্লিনিকে পৌঁছালাম। যখন দরজা খুলছিলাম, তখনই তার বছরের ছেলে আমাকে দেখে দৌড়ে বাড়ি গেল। আমি ভেতরে ঢুকে ল্যাপটপ সেট করলাম, জিনিসপত্র জায়গামতো রাখলাম।

প্রতিদিনের মতো, আমি দুটো ধূপকাঠি জ্বালালাম, ঈশ্বরের সামনে ছোট্ট প্রার্থনা করলাম, তারপরই দিন শুরু করলাম।

পাঁচ মিনিটের মধ্যেই সে আমার চেম্বারে ঢুকে পড়ল। আসলে, সরাসরি ঢুকতেই পারত, কারণ সে ছিল প্রথম রোগী। কিন্তু আমাকে হাতে ধূপকাঠি জ্বালাতে দেখে থেমে গেল, ফিরে গেল আর ওয়েটিং রুমে পায়চারি শুরু করল।

ঈশ্বর আমাকে ক্ষমা করুনযদিও আমি তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, আমার সমস্ত মনোযোগ ছিল ওয়েটিং রুমের ভেতরে।

ধূসর ট্র্যাক প্যান্ট (যা এখানে সাধারণত নাইট ড্রেস হিসেবে পরে), একটি কালো টিশার্ট তার ভুঁড়ির উপর টেনে তোলা, পায়ে ফ্যাশনেবল চপ্পল, চুল এলোমেলো, মুখে যন্ত্রণা আর চোখে জ্বালা।

সে ওয়েটিং রুমে পায়চারি করছিলএদিক-ওদিক হাঁটছিল। অস্থির, উৎকণ্ঠিত বিরক্ত। হাত ঘষছিল, কপাল ঘষছিল, হাঁপাচ্ছিল, যন্ত্রণায় মুখ বিকৃত করছিল।

তার মুখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল প্রবল যন্ত্রণা, আর বিরক্তি যেন লেখা ছিল মুখে। আমি ঈশ্বরের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করছিলাম, কিন্তু আসলে তাকেই দেখছিলাম। সে এক হাতে গুটানো রুমাল ধরে বারবার মাথায় চাপ দিচ্ছিল।

অস্থির, বিরক্ত, উৎকণ্ঠিত হয়ে সে পায়চারি করছিল। যখন আমার দিকে তাকাল, আমিও তাকিয়ে ছিলাম। মুহূর্তেই আমাদের চোখাচোখি হলো, তার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটলকিন্তু সে হাসছিল না।

এক আশ্চর্য দৃশ্য, ভালো করে বোঝার মতো। সে ভেতরে ভেতরে চরম বিরক্ত, অথচ ডাক্তারকে দেখামাত্র সেই বিরক্তি হাসি দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করছে।

রোগী কখনো সরাসরি বলে নাআমি বিরক্ত”—এটা ডাক্তারকে বুঝতে হয়, রোগীর মুখের অভিব্যক্তি থেকে খুঁজে বের করতে হয়।

আমি তাকেকী?” এই ভঙ্গিতে তাকাচ্ছিলাম।

সে তার বিরক্তি হাসির আড়ালে লুকিয়ে বলল

ডাক্তার, মাথায় ভীষণ ব্যথা করছে। সারা রাত আমার স্ত্রী আমার মাথা টিপে দিয়েছে।

আমি তখনও হাতে ধূপকাঠি নিয়ে বিস্মিত হয়ে বললাম

সারা রাত?”

সে হালকা ভঙ্গিতে উত্তর দিল—“এতে কী এমন আশ্চর্য হলো? আর কাউকে বলব নাকি আমি?”

আমি হাত জোড় করলাম, চোখ বন্ধ করলাম আর ঈশ্বরের সামনে মাথা নত করলাম। মনে মনে ভাবলাম

ধন্যবাদ হে ঈশ্বর, হোমিওপ্যাথিকে এত সহজ করে দেওয়ার জন্য।

________________________________________

ANALYSIS:

এখন আমরা শুরু থেকে সব কিছু বিশ্লেষণ করি। আমরা একটি সাধারণ ভারতীয় পরিবার চিনি, তাদের চরিত্রও জানি। সুতরাং আমরা অনুমান করতে পারি, বাড়িতে কী ঘটেছিল, আর সাক্ষাৎকারের সময় তা নিশ্চিত হতে পারি।

আমি রোগীদের মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করি

কী হয়েছে, আজকে আপনাকে খুব দুঃখিত আর বিরক্ত লাগছে কেন?”

অথবা

আপনার মুখ দেখে মনে হচ্ছে আপনি কাঁদছিলেন ক্লিনিকে আসার আগেই, কী হয়েছিল?”

একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে তোমার এমন কল্পনাশক্তি থাকা উচিত যে যা চোখে দেখনি তাও আঁকতে পারবে, যা শোনোনি তাও শুনতে পারবে, যা বলা হয়নি তাও বুঝতে পারবে।

সকালে ৮টার কল, তাও আবার রোগীর স্ত্রীর কাছ থেকে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জানে যে আমি সকাল ১০টায় ক্লিনিক খুলি। তারপরও তারা ফোন করলএটাই তাদের অস্থিরতা, অশান্তি আর হতাশার প্রকাশ।

যখন সে ক্লিনিকে এলো, তখন সে ভীষণ হতাশাগ্রস্ত। যেন মনে হচ্ছিল, যদি আমি প্রার্থনা না করতাম তবে সে ঝাঁপিয়ে পড়ত আমার ওপর। কিন্তু যখন সে দেখল আমি প্রার্থনা করছি, তখন সে নিজেকে সামলাল, কিন্তু তার অস্থিরতা থামাতে পারল না।

এই রোগীর ভেতর যে rubrics গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, সেগুলো হলো

MIND – ANXIETY – pains, from the

MIND – RESTLESSNESS – pain, from

কিন্তু আমার মতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তার মুখ, তার অভিব্যক্তি আর দেহভঙ্গি। তার মুখে সহজেই বোঝা যাচ্ছিল সে বিরক্ত।

তাই আমি পাঠককে অনুরোধ করব একটি অনুশীলন করতেযখন আপনি বাইরে থাকবেন, জনসমাগমে, তখন কোনো কেসটেকিং না করে, কেবল চারপাশ পর্যবেক্ষণ করবেন। পার্কে বসে, কোনো পাবলিক প্লেসে অপেক্ষা করার সময়, চেষ্টা করবেন মানুষগুলোকে আলাদা করতেকে সুখী, কে দুঃখিত, কে অস্থির আর কে বিরক্ত।

এই অনুশীলন আপনাকে নিখুঁতভাবে সাহায্য করবে বিরক্ত মানুষকে চিহ্নিত করতে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ rubric হলো

MIND – IRRITABILITY – pain, during

রোগী সরাসরি বলেছিল—“সারা রাত আমার স্ত্রী আমার মাথা টিপে দিয়েছে।

এখানে আবার আমরা rubric নিতে পারি

MIND – SELFISHNESS, egoism

কেননা, স্ত্রী সারা রাত নির্ঘুম থেকে তার মাথা টিপেছে, অথচ সকালে সে কোনো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেনি, কোনো ধন্যবাদ দেয়নি। উল্টো মনে হলো, যেন স্ত্রীর দায়িত্বই এটা করা।

সে শুধু নিজের যন্ত্রণার কথাই বলছিল, নিজের কষ্ট নিয়েই ব্যস্ত ছিল। স্ত্রীকে ধন্যবাদ না জানানোটা তার স্বার্থপরতার প্রকাশ।

________________________________________

এখন আমাদের হাতে চারটি প্রধান rubrics আছে

        MIND – ANXIETY – pains, from the

        MIND – RESTLESSNESS – pain, from

        MIND – IRRITABILITY – pain, during

        MIND – SELFISHNESS, egoism

এই চারটি rubrics-এর মিলিত ছবি থেকে উঠে আসে Arsenicum album

এটাই হলো সেই মুহূর্ত, যেখানে অভিব্যক্তি, আচরণ আর শব্দ মিলেমিশে ওষুধকে সামনে এনে দাঁড় করায়।

এখন আমরা আরেকটি দিক থেকে বিষয়টা দেখি।

যদি তুমি কেবল তার মাথাব্যথার লক্ষণগুলো ধরতেযেমন ব্যথার ধরন, কোথায় হচ্ছে, কীসে বাড়ছে, কীসে কমছেতাহলে হয়তো Nux vomica বা অন্য কোনো ওষুধে পৌঁছাতে।

কিন্তু যদি তুমি পুরো মানুষটাকে দেখোতার অস্থিরতা, যন্ত্রণার কারণে উৎকণ্ঠা, বিরক্তি, স্বার্থপরতাতাহলে পরিষ্কারভাবে দেখা যাবে যে এই কেসটা আসলে Arsenicum album

________________________________________

MIND – ANXIETY – pains, from the

MIND – RESTLESSNESS – pain, from

MIND – IRRITABILITY – pain, during

MIND – SELFISHNESS, egoism

________________________________________

এখানে ওষুধ নির্ধারণ কেবল “headache” নামক একটা শারীরিক লক্ষণ থেকে হয়নি, বরং তার totality of expressions থেকে হয়েছে।

এই কারণেই বলা হয়—“Don’t treat the disease, treat the patient.”

হোমিওপ্যাথিতে আমরা রোগ নয়, মানুষকে দেখি। তার প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি, প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি অভিব্যক্তি আমাদের সামনে আসল ওষুধকে দাঁড় করিয়ে দেয়।

এইভাবে পুরো কেসটা পরিষ্কার হয়ে যায়।

রোগী নিজের যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই দেখছিল না। স্ত্রী সারা রাত জেগে মাথা টিপে দিয়েছেএমনকি ক্লিনিকে ফোনও করেছেতবুও সে স্ত্রীর ত্যাগকে গুরুত্ব দেয়নি। এই স্বার্থপরতা আসলেই Arsenicum album-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য।

ওষুধ দেওয়ার পর খুব দ্রুতই তার অস্থিরতা কমে গেল, বিরক্তি মুছে গেল, এবং মাথাব্যথাও আর ছিল না।

________________________________________

LESSON:

এই কেস আমাদের শিখিয়ে দেয়

        কেবল ব্যথার বর্ণনা শুনলেই ওষুধ মেলে না।

        রোগীর স্বভাব, অভিব্যক্তি, দেহভঙ্গি আর আচরণএসবই আমাদের সামনে প্রকৃত ওষুধকে হাজির করে।

        রোগী কীভাবে নিজের কষ্ট প্রকাশ করছে, আর অন্যকে (যেমন স্ত্রীকে) কেমন আচরণ করছে, সেটাই আসল সূত্র।

এই শিক্ষাটা যে কোনো রোগীর ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

MIND – ANXIETY – expected of him; when anything is expected of him

হ্যাঁ! বাহ্যিকভাবে সে খুব যত্নবান মানুষ মনে হয়পরিবারের প্রতি, সন্তানদের প্রতি, বাবা-মায়ের প্রতি।

MIND – CARES, full of others, about

MIND – CARES, full of relatives, about

যদিও কথাটা কিছুটা বিতর্কিত শোনাবে, কিন্তু আসল সত্য হলোসে ভাবে, যদি পরিবারের কেউ অসুস্থ হয় তবে তাদের অবস্থা কী হবে। অথচ সে নিজে অসুস্থ হলে অন্যরা তার জন্য কী করছে, সেটা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, সে প্রকৃতপক্ষে নিজের জন্য অনেক বেশি আশা করে। ভালোবাসার মানুষদের জন্য নিজের ত্যাগকে বড় করে না দেখে বরং ভাবেসে যতটুকু দিয়েছে, তার বিনিময়ে আরও বেশি পাওয়া উচিত। সে হয়তো পরিবারের জন্য একটি পয়সা খরচ করবে, কিন্তু প্রত্যাশা করবে তার বিনিময়ে একটি পাউন্ড।

পরিবারের বাইরে অন্যদের কাছে তারা বেশ ভদ্র সভ্য মনে হয়। কোমলভাষী, সুন্দর ব্যবহারসবকিছু যেন অভিনয়ের অংশ।

MIND – HIDING – himself (HIS REAL CHARACTER)

MIND – FASTIDIOUS

অতএব, বাইরের লোক তাদের বাড়িতে গেলে সুন্দর-পরিপাটি চেহারা পাবে, কথা বলার ভঙ্গি হবে ভদ্রতার সঙ্গে। কিন্তু ভেতরের চরিত্র লুকিয়ে থাকবে।

MIND – REST – cannot rest when things are not in the proper place

সে চায় সবকিছু সঠিক জায়গায় থাকুক। যদি জল চাই, তুমি যদি তাকে গ্লাসে দাওসে চাইবে হালকা গরম। তুমি যদি তা গরম করো, তখন সেটা অতিরিক্ত গরম হয়ে যাবে। আবার ঠান্ডা করলে সেটা হয়ে যাবে খুব ঠান্ডা।

তুমি যতই চেষ্টা করো না কেন, প্রথমবারেই সঠিকভাবে তাকে কিছু দেওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ, এরা অতি খুঁতখুঁতে মানুষ।

MIND – BITING – tumbler; his

তুমি যদি একটু বিশ্রাম নাও, সাথে সাথে সে তোমাকে ডাকবে অন্য কোনো কাজের জন্য। তুমি যখনই বসো, তখনই সে তোমাকে দাঁড় করাবে। তার সেবা যেন এক মুহূর্তও থেমে না যায়।

তৃতীয় বা চতুর্থ চেষ্টার পর হয়তো সে বলবে—“প্রথমবারেই ঠিকই দিয়েছিলে।

তখন তোমার মনে হবেতুমি যদি গরম বা ঠান্ডা জল তার মুখের ওপরই ছুড়ে মারতে পারতে!

MIND – EMBITTERED, exasperated

এরা সবসময় তিক্ত বিরক্ত প্রকৃতির। অসুস্থ অবস্থায় শুধু নিজের অশান্তি নয়, আশেপাশের সবাইকেও অশান্ত করে তোলে।

যদি কখনো তাকে তার জিনিস থেকে আলাদা হতে হয়, তখন সে ভেতরে ভেতরে দারুণ অস্থির হয়ে ওঠে। নিজের পরিবারের সঙ্গেও সে এভাবে আচরণ করেমিতব্যয়ী হলেও, কিছু দেওয়ার সময় ভেতরে ভেতরে উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকে।

MIND – SELFISHNESS, egoism

MIND – GREED, cupidity

MIND – ANXIETY – expected of him; when anything is expected of him

এরা সহজেই ভয় পেয়ে যায়। যেমন, যদি ডাক্তার বলে—“তোমার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি দরকার”—তাহলে সে দ্বিধাহীনভাবে তাতে রাজি হবে। খরচ বহন করতে না পারলেও, সে করবে। পরিবারকে ঋণগ্রস্ত করতে হলেও করবে।

কারণ, ভেতরে ভেতরে তাদের সবচেয়ে বড় ভয়তারা যেন একা মরে না যায়।

তাই তারা চায় কেউ যেন সারাক্ষণ তাদের শয্যার পাশে বসে থাকেদিন-রাত সবসময়।

MIND – BITING – tumbler; his

MIND – FEAR – alone, of being – lest he die

MIND – FEAR – death, of

তাহলে দেখা যাচ্ছে, Arsenic প্রকৃতির মানুষরা বাইরের দিক থেকে অনেক পরিশীলিত, ভদ্র সভ্য মনে হয়। কিন্তু ঘরের ভেতরে, পরিবারের মধ্যে, তারা ভয়, উৎকণ্ঠা, অশান্তি আর কৃপণতার মাধ্যমে অন্যদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে।

ভেতরে ভেতরে তারা ভীষণ ভীতু আর দুশ্চিন্তাগ্রস্ত, আর সেই ভয়ের রূপ হলোএকাকীত্ব আর মৃত্যুভয়।

https://bangladeshhealthalliance.com/dr-md-hasanuzzaman/

https://www.doctorbangladesh.com/dr-md-hasanuzzaman-homeo/

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Schizophrenia Treatment in Jashore: Integrated Homeopathy, Counselling & Lifestyle Management by Dr. Md. Hasanuzzaman

Schizophrenia Treatment in Jashore: Integrated Homeopathy, Counselling & Lifestyle Management by Dr. Md. Hasanuzzaman ...

Loading posts...
✅ Homeo Care — Affordable Homeopathy in Jashore | Helpline: +8801717250951
🔔 হোমিও কেয়ারে বিশেষ সেবা: মাত্র ১০০ টাকায় স্বাস্থ্য কার্ডে গরীব অসহায়দের উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা! প্রতি মঙ্গলবার! 📍 যশোর সদর | 📞 +8801717250951 | 🕒 সকাল ৯টা – রাত ৯টা | শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি।
--